
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা-শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ) বিভাগ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, আইন বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ব্যবসা-প্রশাসন বিভাগ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (পুলা)-এর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন মঈনুল হক, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব কাউছার আলম প্রমুখ।
শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার প্রাক্কালে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ২৩ বছর ধরে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানিদের উপর নির্মম ঔপনিবেশিক শোষণ অব্যাহত রেখেছিল এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবেই তারা ভাষাকে ব্যবহার করতে চেয়েছে। সেসময় মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা, এমনকি তৎকালীন পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের পরিবারও উর্দু ভাষার তোষক ছিল। কারণ, মুসলিম লীগের মুখ্য নেতৃবৃন্দের মুখের ভাষা ছিল উর্দু। যদিও উর্দু ছিল পাকিস্তানের কেবলমাত্র সাড়ে সাত শতাংশ মানুষের মুখের ভাষা। অন্যদিকে ছাপ্পান্ন শতাংশ লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। তবু পশ্চিম পাকিস্তান উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত করেছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফলে এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণমুক্ত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
ড. সেন বাংলা ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পৃক্ততার ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, বাঙালিই বিশ্ব-ইতিহাসে প্রথম ভাষার জন্য রক্তদান করে। তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেন এবং এর জন্য কারাবরণও করেছিলেন।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘ইনডোর গেইমস এন্ড স্টুডেন্ট ক্লাব এক্টিভিটিস জোন’ উদ্বোধনে সিটি মেয়র
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার টিকার ২য় ডোজ প্রদান কর্মসূচি সম্পন্ন
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ইন্ট্রা ডিপার্টমেন্ট ফুটবল টুর্নামেন্ট (সিজন-১) অনুষ্ঠিত হয়েছে
Read More
LIT Fest 2025 Held at Premier University
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে হিম উৎসব ও কাওয়ালী সন্ধ্যা
Read MoreMonday, 21 February, 2022
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা-শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ) বিভাগ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, আইন বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, ব্যবসা-প্রশাসন বিভাগ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (পুলা)-এর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন মঈনুল হক, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব কাউছার আলম প্রমুখ।
শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার প্রাক্কালে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ২৩ বছর ধরে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানিদের উপর নির্মম ঔপনিবেশিক শোষণ অব্যাহত রেখেছিল এবং শোষণের হাতিয়ার হিসেবেই তারা ভাষাকে ব্যবহার করতে চেয়েছে। সেসময় মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা, এমনকি তৎকালীন পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিনের পরিবারও উর্দু ভাষার তোষক ছিল। কারণ, মুসলিম লীগের মুখ্য নেতৃবৃন্দের মুখের ভাষা ছিল উর্দু। যদিও উর্দু ছিল পাকিস্তানের কেবলমাত্র সাড়ে সাত শতাংশ মানুষের মুখের ভাষা। অন্যদিকে ছাপ্পান্ন শতাংশ লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। তবু পশ্চিম পাকিস্তান উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত করেছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফলে এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণমুক্ত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।
ড. সেন বাংলা ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পৃক্ততার ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, বাঙালিই বিশ্ব-ইতিহাসে প্রথম ভাষার জন্য রক্তদান করে। তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেন এবং এর জন্য কারাবরণও করেছিলেন।