প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ‘প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জাতীয় বাজেট-২০২৫-২০২৬’ শীর্ষক সেমিনার ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে ‘প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জাতীয় বাজেট-২০২৫-২০২৬’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, বেলা ২.৪৫টায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব দত্ত। প্রবন্ধে বলা হয়, এবারের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করা। সেই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাজেটকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়—রাজস্ব বাজেট ও উন্নয়ন বাজেট। প্রবন্ধকার বাজেটকে কেন্দ্র করে সরকারের বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণানির্ভর আলোচনা করেন। এই প্রস্তাবিত বাজেটের সেক্টর ভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রভাব কেমন হতে পারে তা-ও তিনি তুলে ধরেন। পরিশেষে বিগত অর্থবছর (২০২৪-২০২৫) ও প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থবছর (২০২৫-২০২৬)-এর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি উপাচার্য এস. এম. নছরুল কদির বলেন, জাতীয় বাজেট সরকারের একটি আর্থিক পরিকল্পনা ও এটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা। এবারের বাজেটটি খুবই চমৎকার; কারণ এই বাজেটে অনেক কৌশলগত দিক রয়েছে। এই বাজেট থেকে সরকারের কাছে অনেক এক্সপেকটেশানস রয়েছে বিভিন্ন সেকটরের। তিনি এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আগামীতে ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাক-বাজেট আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নিয়ে জাতীয় বাজেটে ভূমিকা রাখার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে জনগণের চাহিদা থাকলেই হবে না, এই চাহিদা পূরণে সরকারকেও উদ্যোগী ও আন্তরিক হতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণের সার্বিক সহযোগিতাও সরকারের জন্য প্রয়োজন।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর। তিনি বাজেটের থিমের সাথে এসডিজি (৪), বাজেট প্রিপেয়ার করার পদ্ধতিগত দিকনির্দেশনা, এসডিজি গোল, মুদ্রাস্ফীতি, এনবিআর-এর দায়িত্বশীলতা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাজেটের টার্গেট, জিডিপি গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট ইস্যু, সাস্টেইনেবল গ্রোথ করার প্রক্রিয়া, এডিপি (১০টা সেক্টর), ইকনমি রিফরমেশন, রেমিট্যান্স বাড়ানোর প্রক্রিয়া, ট্যাক্স বার্ডেন, ট্যাক্স পেমেন্ট এবং ইনক্লুশান, ইন্ডিভিজুয়াল ও কর্পোরেট ট্যাক্স, ক্যাপিটাল মার্কেট ও অর্থনৈতিক ইস্যু, ইমপ্যাক্ট অব ট্যাক্স রেট অন ইকনমি প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসনিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর এম. মঈনুল হক উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে বাজেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেমন, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব, ইন্টারেস্ট রেট, মুদ্রা বিনিময় হার এবং এমপ্লয়মেন্টের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সেমিনারের শেষদিকে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
Related News
Prof. Nasrul Qadir envisages a politically aware, academically strong generation.
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ‘প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জাতীয় বাজেট-২০২৫-২০২৬’ শীর্ষক সেমিনার ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে ‘প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জাতীয় বাজেট-২০২৫-২০২৬’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, বেলা ২.৪৫টায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব দত্ত। প্রবন্ধে বলা হয়, এবারের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করা। সেই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাজেটকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়—রাজস্ব বাজেট ও উন্নয়ন বাজেট। প্রবন্ধকার বাজেটকে কেন্দ্র করে সরকারের বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণানির্ভর আলোচনা করেন। এই প্রস্তাবিত বাজেটের সেক্টর ভিত্তিক অর্থনৈতিক প্রভাব কেমন হতে পারে তা-ও তিনি তুলে ধরেন। পরিশেষে বিগত অর্থবছর (২০২৪-২০২৫) ও প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থবছর (২০২৫-২০২৬)-এর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি উপাচার্য এস. এম. নছরুল কদির বলেন, জাতীয় বাজেট সরকারের একটি আর্থিক পরিকল্পনা ও এটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা। এবারের বাজেটটি খুবই চমৎকার; কারণ এই বাজেটে অনেক কৌশলগত দিক রয়েছে। এই বাজেট থেকে সরকারের কাছে অনেক এক্সপেকটেশানস রয়েছে বিভিন্ন সেকটরের। তিনি এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আগামীতে ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাক-বাজেট আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দিক নিয়ে জাতীয় বাজেটে ভূমিকা রাখার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে জনগণের চাহিদা থাকলেই হবে না, এই চাহিদা পূরণে সরকারকেও উদ্যোগী ও আন্তরিক হতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণের সার্বিক সহযোগিতাও সরকারের জন্য প্রয়োজন।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর। তিনি বাজেটের থিমের সাথে এসডিজি (৪), বাজেট প্রিপেয়ার করার পদ্ধতিগত দিকনির্দেশনা, এসডিজি গোল, মুদ্রাস্ফীতি, এনবিআর-এর দায়িত্বশীলতা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাজেটের টার্গেট, জিডিপি গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট ইস্যু, সাস্টেইনেবল গ্রোথ করার প্রক্রিয়া, এডিপি (১০টা সেক্টর), ইকনমি রিফরমেশন, রেমিট্যান্স বাড়ানোর প্রক্রিয়া, ট্যাক্স বার্ডেন, ট্যাক্স পেমেন্ট এবং ইনক্লুশান, ইন্ডিভিজুয়াল ও কর্পোরেট ট্যাক্স, ক্যাপিটাল মার্কেট ও অর্থনৈতিক ইস্যু, ইমপ্যাক্ট অব ট্যাক্স রেট অন ইকনমি প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসনিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর এম. মঈনুল হক উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে বাজেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যেমন, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব, ইন্টারেস্ট রেট, মুদ্রা বিনিময় হার এবং এমপ্লয়মেন্টের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সেমিনারের শেষদিকে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।