প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ‘জেন্ডার সমতা ও সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন প্রফেসর হোসাইন কবীর, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী। ধারণাপত্র উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস আহম্মদ, শুভেচ্ছা বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা এম এম এরশাদুল করিম। সেমিনার সঞ্চালনা করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রভাষক তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, প্রথম শ্রেণিবৈষম্য লিঙ্গভিত্তিক, অর্থনৈতিক নয়। যখন থেকে সমাজ এগিয়ে চলেছে, রাষ্ট্র গড়ে উঠেনি, তখন থেকে লিঙ্গবৈষম্য চলছে। প্রাচীন সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক হলেও তখনও লিঙ্গবৈষম্য ছিল, ছিল নারীর প্রতি সহিংসতা। কারণ পুরুষ শারীরিক শক্তিতে নারীর থেকে বেশি, যদিও জৈবিক শক্তি নারীর অধিক।
তিনি বলেন, এখনও বিশ্বের কোথাও কোথাও মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা আছে, যা প্রথার মাধ্যমে চলে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে মায়ের পরিচয়েই ব্যক্তির পরিচয়। তবু সেসব দেশে নারী সহিংসতা প্রকট। তিনি কানাডায় তাঁর দেখা নারী সহিংসতার বিবরণ দেন।
ড. সেন মুসোলিনি ও হিটলার কর্তৃক মানুষের অধিকার হরণের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁরা দুজনেই গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে জয়ী হলেও তাঁরাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেন। ড. সেন আরও বলেন, ১৭৮৯ সালের ৪ আগস্ট ফরাসী বিপ্লবের পরে সেখানে মানুষের অধিকারের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, আজ থেকে সকলেই আইনের চোখে সমান। কিন্তু সকলে সমান হয়নি। নারী তখনও অধিকার পায়নি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা কিছুটা অধিকার পেতে শুরু করেছে বিংশ শতক থেকে।
প্রফেসর হোসাইন কবীর বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বিভিন্ন দেশের মানুষের অধিকার ও নারীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন-বিপ্লব-সংগ্রামের উল্লেখ করেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন বলেন, জাতীয় চারনীতি-গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করা গেলে জেন্ডার সমতা ও সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজগঠনে, এমনকি নিজেদের স্বার্থে পুরুষদেরকেও লিঙ্গের সমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী জেন্ডার সমতা, সমনাগরিকত্ব, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান, নারী-নিপিড়ন সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা নারী অধিকারের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, লিঙ্গসমতা ও সমঅধিকারের বিষয়ে আজকের দর্শকেরা সচেতন হবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।
আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সৌজন্য সাক্ষাৎ ।
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ফিমেল কমনরুম উদ্বোধন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক এস. এম. নছরুল কদির ।
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘স্টার্ট ইউর ক্যারিয়ার জার্নি উইথ লিঙ্কডইন’ শীর্ষক সেমিনার
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগে বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন কাউন্সিলের ভিজিট সম্পন্ন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ক্যারিয়ার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে বাংলাদেশ এক্রেডিটেশন কাউন্সিলের ভিজিট সম্পন্ন
Read MoreFriday, 16 June, 2023
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে ‘জেন্ডার সমতা ও সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডিন প্রফেসর হোসাইন কবীর, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী। ধারণাপত্র উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস আহম্মদ, শুভেচ্ছা বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা এম এম এরশাদুল করিম। সেমিনার সঞ্চালনা করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোশিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রভাষক তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, প্রথম শ্রেণিবৈষম্য লিঙ্গভিত্তিক, অর্থনৈতিক নয়। যখন থেকে সমাজ এগিয়ে চলেছে, রাষ্ট্র গড়ে উঠেনি, তখন থেকে লিঙ্গবৈষম্য চলছে। প্রাচীন সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক হলেও তখনও লিঙ্গবৈষম্য ছিল, ছিল নারীর প্রতি সহিংসতা। কারণ পুরুষ শারীরিক শক্তিতে নারীর থেকে বেশি, যদিও জৈবিক শক্তি নারীর অধিক।
তিনি বলেন, এখনও বিশ্বের কোথাও কোথাও মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা আছে, যা প্রথার মাধ্যমে চলে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে মায়ের পরিচয়েই ব্যক্তির পরিচয়। তবু সেসব দেশে নারী সহিংসতা প্রকট। তিনি কানাডায় তাঁর দেখা নারী সহিংসতার বিবরণ দেন।
ড. সেন মুসোলিনি ও হিটলার কর্তৃক মানুষের অধিকার হরণের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁরা দুজনেই গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে জয়ী হলেও তাঁরাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেন। ড. সেন আরও বলেন, ১৭৮৯ সালের ৪ আগস্ট ফরাসী বিপ্লবের পরে সেখানে মানুষের অধিকারের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, আজ থেকে সকলেই আইনের চোখে সমান। কিন্তু সকলে সমান হয়নি। নারী তখনও অধিকার পায়নি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা কিছুটা অধিকার পেতে শুরু করেছে বিংশ শতক থেকে।
প্রফেসর হোসাইন কবীর বলেন, মানুষ হিসেবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বিভিন্ন দেশের মানুষের অধিকার ও নারীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন-বিপ্লব-সংগ্রামের উল্লেখ করেন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন বলেন, জাতীয় চারনীতি-গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করা গেলে জেন্ডার সমতা ও সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজগঠনে, এমনকি নিজেদের স্বার্থে পুরুষদেরকেও লিঙ্গের সমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী জেন্ডার সমতা, সমনাগরিকত্ব, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান, নারী-নিপিড়ন সম্পর্কে বর্ণনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা নারী অধিকারের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, লিঙ্গসমতা ও সমঅধিকারের বিষয়ে আজকের দর্শকেরা সচেতন হবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।