প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব-১৪২৯ আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সকাল ১০টায় বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী, প্রভাষক তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি ও অর্পা পাল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ঘাসফুল চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী। উদ্বোধনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা সকলকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ফাল্গুন আমাদের গৌরবের ভাষার মাস। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা অঞ্চলে বসন্ত উৎসব পালন করার রীতি রয়েছে। ১৯০৭ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব পালন করা শুরু করেন। বঙ্গাব্দ ১৪০১ থেকে বাংলাদেশে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রকৃতি হলো একাধারে উপশমকারী ও অনুপ্রেরণার উৎস। নিজেদের কষ্টগুলোকে এবং মনের কালো ও দীনতাকে আমরা যেন ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে তুলে দূর করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বসন্ত উদযাপনের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ হলো পিঠাপুলি উৎসব। এর মাধ্যমে আমরা ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পারি, একই সঙ্গে স্মরণ করতে পারি আমাদের পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি। ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রকৃতি সংরক্ষণেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে। আসলে প্রকৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি। আজকের উৎসব শিক্ষার্থীদের বৃক্ষ ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে সহায়তা করবে এবং সংবেদনশীল হতে শেখাবে।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, আমাদের আচার-আচরণ যেন প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং প্রকৃতিকে যেন আমরা সম্মান করি। বসন্তের ছোঁয়ায় আমরাও নতুন উদ্যমে যেন জেগে উঠি।
বসন্ত উৎসবে পিঠা, গহনা ও বৃক্ষচারা প্রদর্শনী ছিল। পিঠা প্রদর্শনীতে ছিল নকশি পিঠা, সাঁজ পিঠা, পাকন পিঠা, চায়না গ্রাম পুডিং, আতিক্কা পিঠা, কলা পিঠা, বড়া, মধুভাত, দুধপুলি, ঝিনুক পিঠা, ঝাল ফুল পিঠা, ছাচ পিঠা, ফুলকপির পাকোড়া ও দুধচিতই। বৃক্ষচারা প্রদর্শনীতে ছিল কিছু বিদেশি চারা, যেগুলো বাংলাদেশের মাটিতে রোপন করার যোগ্য। এসব চারার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সাকুল্যান্ট। খেলাধুলা, গান ও নৃত্যের আয়োজনের পরে বসন্ত উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
Related News
আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সৌজন্য সাক্ষাৎ ।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব-১৪২৯ আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সকাল ১০টায় বসন্ত উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সমাজতত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী, প্রভাষক তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি ও অর্পা পাল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ঘাসফুল চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী। উদ্বোধনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা সকলকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ফাল্গুন আমাদের গৌরবের ভাষার মাস। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা অঞ্চলে বসন্ত উৎসব পালন করার রীতি রয়েছে। ১৯০৭ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব পালন করা শুরু করেন। বঙ্গাব্দ ১৪০১ থেকে বাংলাদেশে বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রকৃতি হলো একাধারে উপশমকারী ও অনুপ্রেরণার উৎস। নিজেদের কষ্টগুলোকে এবং মনের কালো ও দীনতাকে আমরা যেন ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে তুলে দূর করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বসন্ত উদযাপনের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গ হলো পিঠাপুলি উৎসব। এর মাধ্যমে আমরা ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পারি, একই সঙ্গে স্মরণ করতে পারি আমাদের পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি। ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রকৃতি সংরক্ষণেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে। আসলে প্রকৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি। আজকের উৎসব শিক্ষার্থীদের বৃক্ষ ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করতে সহায়তা করবে এবং সংবেদনশীল হতে শেখাবে।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, আমাদের আচার-আচরণ যেন প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং প্রকৃতিকে যেন আমরা সম্মান করি। বসন্তের ছোঁয়ায় আমরাও নতুন উদ্যমে যেন জেগে উঠি।
বসন্ত উৎসবে পিঠা, গহনা ও বৃক্ষচারা প্রদর্শনী ছিল। পিঠা প্রদর্শনীতে ছিল নকশি পিঠা, সাঁজ পিঠা, পাকন পিঠা, চায়না গ্রাম পুডিং, আতিক্কা পিঠা, কলা পিঠা, বড়া, মধুভাত, দুধপুলি, ঝিনুক পিঠা, ঝাল ফুল পিঠা, ছাচ পিঠা, ফুলকপির পাকোড়া ও দুধচিতই। বৃক্ষচারা প্রদর্শনীতে ছিল কিছু বিদেশি চারা, যেগুলো বাংলাদেশের মাটিতে রোপন করার যোগ্য। এসব চারার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সাকুল্যান্ট। খেলাধুলা, গান ও নৃত্যের আয়োজনের পরে বসন্ত উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।