
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে এই বিভাগের উদ্যোগে ‘আইনি পেশা পরিবর্তনের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে উদ্বোধক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. নাঈম আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, বান্দরবান জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত জেলা জজ) জনাব মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট, আইনি সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা ও অংশীদার ব্যারিস্টার অনিতা গাজী রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা যখন শুরু হয়, তখন থেকে আইনেরও প্রচলন হয়। তার আগে অর্থাৎ প্রাক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইন ছিল না। তখন প্রথার মাধ্যমে সমাজ পরিচালিত হতো। রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে আইনের প্রচলন হওয়ার পর থেকে মানুষের প্রয়োজনে আইন বিবর্তিতও হচ্ছে। তিনি বলেন, আইনের ইতিহাস অতি প্রাচীন হলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অনেক উপজাতীয় সমাজে রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে উঠেনি; সেসব সমাজ এখনও প্রথার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তারা প্রথা থেকে বেরিয়ে আইনের আওতায় আসছে। এখন সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সমাজে এখন প্রযুক্তি একটা বড়ো স্থান করে নিচ্ছে। প্রযুক্তির নিত্য-নতুন আবিষ্কারের সঙ্গে তাল রেখে সেইসব প্রযুক্তির ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন নতুন আইন সৃষ্টি হচ্ছে, সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আইনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, আমাদের দেশে এখনও আইনের সুফল সব মানুষ পাচ্ছে না। এখনও বিচারের বাণী নীরবে, নিভৃতে কাঁদে।
প্রধান আলোচক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আইনজীবীদের পেশা কেমন, আইনজীবীরা কেমন ও আদালত কেমন সবকিছু নির্ভর করে শেষ বিচারে আইনের শিক্ষা কিভাবে পরিচালিত হয় তার উপর। তাই আইনের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আইনের শিক্ষা শিক্ষার্থীরা যেভাবে পাবে সেভাবেই আইনের শিক্ষা পরিচালিত হবে; এটাই স্বাভাবিক। তাই আইনের সুফল যাতে সব মানুষ পায়, সে-ধরনের আইন প্রণয়নে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা দরকার। আইনের সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন, একাজ তাঁদেরকেই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সমাজ থেকে আইনকে পৃথক করে তাত্ত্বিক দুনিয়ায় আইনকে আবদ্ধ করে রাখলে সমাজ উপকৃত হবে না। আইন হতে হবে সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনে। প্রধান আলোচক আইনের শিক্ষক হিসেবে তাঁর চার দশকের অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেন।
ওয়েবিনারে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন৷
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য নারকোটিকস কন্ট্রোল অ্যাক্ট ২০১৮: লিগ্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল পার্সপেক্টিভস’ শীর্ষক স্টুডেন্টস’ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত ।
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘ইপসা-শিখা’ প্রকল্পের আওতায় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা সেশন ।
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগে ‘ফ্রি হ্যান্ড ফিগার ইলাসট্রেশন’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী ।
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘এমপ্লয়েবিলিটি মাস্টারক্লাস’ শীর্ষক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ।
Read More
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ।
Read More
Seminar titled ‘Interdisciplinary, Knowledge Integration and Diffusion in Business Research’ held at the Department of Business Administration, Premier University.
Read More
বিজনেস ইনোভেটিভ আইডিয়া কনটেস্ট ২০২৫–এ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অর্জন।
Read MoreThursday, 22 October, 2020
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে এই বিভাগের উদ্যোগে ‘আইনি পেশা পরিবর্তনের ভূমিকা : চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে উদ্বোধক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. নাঈম আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, বান্দরবান জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (অতিরিক্ত জেলা জজ) জনাব মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট, আইনি সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা ও অংশীদার ব্যারিস্টার অনিতা গাজী রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা যখন শুরু হয়, তখন থেকে আইনেরও প্রচলন হয়। তার আগে অর্থাৎ প্রাক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইন ছিল না। তখন প্রথার মাধ্যমে সমাজ পরিচালিত হতো। রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে আইনের প্রচলন হওয়ার পর থেকে মানুষের প্রয়োজনে আইন বিবর্তিতও হচ্ছে। তিনি বলেন, আইনের ইতিহাস অতি প্রাচীন হলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অনেক উপজাতীয় সমাজে রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে উঠেনি; সেসব সমাজ এখনও প্রথার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে তারা প্রথা থেকে বেরিয়ে আইনের আওতায় আসছে। এখন সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। সমাজে এখন প্রযুক্তি একটা বড়ো স্থান করে নিচ্ছে। প্রযুক্তির নিত্য-নতুন আবিষ্কারের সঙ্গে তাল রেখে সেইসব প্রযুক্তির ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন নতুন আইন সৃষ্টি হচ্ছে, সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আইনের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, আমাদের দেশে এখনও আইনের সুফল সব মানুষ পাচ্ছে না। এখনও বিচারের বাণী নীরবে, নিভৃতে কাঁদে।
প্রধান আলোচক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আইনজীবীদের পেশা কেমন, আইনজীবীরা কেমন ও আদালত কেমন সবকিছু নির্ভর করে শেষ বিচারে আইনের শিক্ষা কিভাবে পরিচালিত হয় তার উপর। তাই আইনের শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আইনের শিক্ষা শিক্ষার্থীরা যেভাবে পাবে সেভাবেই আইনের শিক্ষা পরিচালিত হবে; এটাই স্বাভাবিক। তাই আইনের সুফল যাতে সব মানুষ পায়, সে-ধরনের আইন প্রণয়নে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা দরকার। আইনের সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন, একাজ তাঁদেরকেই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সমাজ থেকে আইনকে পৃথক করে তাত্ত্বিক দুনিয়ায় আইনকে আবদ্ধ করে রাখলে সমাজ উপকৃত হবে না। আইন হতে হবে সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনে। প্রধান আলোচক আইনের শিক্ষক হিসেবে তাঁর চার দশকের অভিজ্ঞতার কথাও বর্ণনা করেন।
ওয়েবিনারে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীসহ অনেকেই অংশগ্রহণ করেন৷