প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে ২৬ মার্চ ২০২৩। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, কলা অনুষদ, আইন অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ স্ব স্ব ডিনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ) বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব কাউছার আলম প্রমুখ।
শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার প্রাক্কালে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতিসত্তা কয়েক হাজার বছরের। বহু বর্ণের সমন্বয়ে এই জাতিসত্তা গড়ে উঠে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষাভাষি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চেই বাঙালি প্রথম স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যথার্থ অর্থে স্বাধীনতা পায় নি। পশ্চিম পাকিস্তানের নিবিড় ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়। এই শোষণ কী তীব্র ও নিষ্ঠুর ছিল তা আমাদের শিক্ষার্থীসমাজকে জানতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে। পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সম্পদেই পশ্চিম পাকিস্তান গড়ে উঠে। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধান অর্থকরি ফসল ছিল পাট। পশ্চিম পাকিস্তানের আমদানি তার রপ্তানির চেয়ে অনেকগুণ বেশি ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের আমদানি তার রপ্তানির চেয়ে অনেক কম ছিল। এই আমদানির উদ্বৃত্ত দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প-কলকারখানা, কেন্দ্রীয় রাজধানীর বেসামরিক ব্যয় ও বিশাল সামরিক ব্যয় নির্বাহ করা হতো।
ড. সেন আরও বলেন, এই পরাধীন বাঙালিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করেন। তারই পথ ধরে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন স্বাধীনতা। ড. সেন ২৬ মার্চকে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ দিন বলে উল্লেখ করেন।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘ইনডোর গেইমস এন্ড স্টুডেন্ট ক্লাব এক্টিভিটিস জোন’ উদ্বোধনে সিটি মেয়র
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার টিকার ২য় ডোজ প্রদান কর্মসূচি সম্পন্ন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ইন্ট্রা ডিপার্টমেন্ট ফুটবল টুর্নামেন্ট (সিজন-১) অনুষ্ঠিত হয়েছে
Read MoreLIT Fest 2025 Held at Premier University
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে হিম উৎসব ও কাওয়ালী সন্ধ্যা
Read MoreSunday, 26 March, 2023
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে ২৬ মার্চ ২০২৩। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, কলা অনুষদ, আইন অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ স্ব স্ব ডিনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ) বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী ও ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব কাউছার আলম প্রমুখ।
শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার প্রাক্কালে উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতিসত্তা কয়েক হাজার বছরের। বহু বর্ণের সমন্বয়ে এই জাতিসত্তা গড়ে উঠে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষাভাষি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চেই বাঙালি প্রথম স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যথার্থ অর্থে স্বাধীনতা পায় নি। পশ্চিম পাকিস্তানের নিবিড় ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়। এই শোষণ কী তীব্র ও নিষ্ঠুর ছিল তা আমাদের শিক্ষার্থীসমাজকে জানতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে। পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের সম্পদেই পশ্চিম পাকিস্তান গড়ে উঠে। সেই সময় পাকিস্তানের প্রধান অর্থকরি ফসল ছিল পাট। পশ্চিম পাকিস্তানের আমদানি তার রপ্তানির চেয়ে অনেকগুণ বেশি ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের আমদানি তার রপ্তানির চেয়ে অনেক কম ছিল। এই আমদানির উদ্বৃত্ত দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প-কলকারখানা, কেন্দ্রীয় রাজধানীর বেসামরিক ব্যয় ও বিশাল সামরিক ব্যয় নির্বাহ করা হতো।
ড. সেন আরও বলেন, এই পরাধীন বাঙালিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করেন। তারই পথ ধরে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন স্বাধীনতা। ড. সেন ২৬ মার্চকে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ দিন বলে উল্লেখ করেন।