puc_logo

Premier University
Center Of Excellence For Quality Learning

puc_logo

সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ফল-২০২৪ সেশনের একাদশ ব্যাচের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী। প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, যখন থেকে মানবসমাজ যূথবদ্ধভাবে, সামাজিকভাবে বাস করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই মানুষ সমাজ নিয়ে ভেবেছে। এই ভাবনাকেই আমরা বলতে পারি লোকজ্ঞান। সমাজকে বিশ্লেষণ করে যখন সমাজকে মানুষের জন্য ভালোভাবে বাসযোগ্য করার কথা ভাবা হয়েছে যুক্তিকে অবলম্বন করে, তখন থেকেই সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ শুরু হয়েছে। মেসোপটেমিয়া, মিশর, চীন, এই উপমহাদেশ এবং অনেক দেশে বিভিন্ন ধরনের রেখে যাওয়া বাণীর মধ্যে সমাজভাবনার সঙ্গে আমরা পরিচিত হই, যেমন, কোড অব হাম্মুরবি। আমরা খুব সুলিখিতভাবে সমাজ নিয়ে ভাবনার যুক্তি ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাজজীবনকে উন্নীত করার এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তিজীবনকে উন্নীত করার প্রয়াস দেখতে পাই গ্রীক দার্শনিক প্লেটো, এরিস্টটল ইত্যাদি সমাজচিন্তকদের মধ্যে। সম্পদ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে জীবনকে অর্থপূর্ণ করার যে-প্রচেষ্টা, সেখানে মধ্যযুগের সমাজদার্শনিক ইবনে খলদুনের অবদানের কথাও স্বীকার করতে হয়। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকে যখন মার্কেন্টালিস্টরা ভেবেছিলেন, একটি দেশের যত বেশি সোনা বা রূপো আছে, সে দেশই তত সম্পদশালী, তারও অনেক আগে চতুর্দশ শতকে খলদুন বলেছিলেন সম্পদ সৃষ্টি হয় কমোডিটি (প্রয়োজনীয় সামগ্রী) সৃষ্টির মাধ্যমে। তাঁর এই বক্তব্যই আজ সমাজবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত।
ড. সেন বলেন, সমাজবিজ্ঞান একটি বিশাল বিষয়, যেখানে সংমিশ্রণ ঘটেছে অর্থনীতি, পৌরবিজ্ঞান, দর্শন, নৃ-বিজ্ঞান, ইতিহাস, নীতিশাস্ত্র ইত্যাদির। যেহেতু মানুষ সমাজে বাস করে, সেহেতু আজ প্রায় বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, যারা বিজ্ঞান, ব্যবসা-বিষয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় পড়ে তাদের জন্য সমাজবিজ্ঞান একটি অবশ্য-পাঠ্য বিষয়। কারণ প্রকৌশল বা চিকিৎসা বিজ্ঞান বা অন্যান্য পাঠযোগ্য বিষয় সবই তো সমাজের জন্য, সমাজের মানুষের প্রয়োজনে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাদশ ব্যাচের এডভাইজার প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস। স্বাগত বক্তব্যে কোর্স কারিকুলাম বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ তাঁর বক্তব্যে সমাজতত্ত্ব পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী ইউনিভার্সিটির কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলার দিক-নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক অর্পা পালের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী সমাজতাত্ত্বিকদের বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সমাজতত্ত্ব কীভাবে মানবিক চিন্তাধারার ক্রমবিকাশে শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

Related Events

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বর্ণাঢ্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম

Read More

সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম

Read More

তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি গণিত বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ২০২৪ উদযাপন

Read More

সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম

Monday, 30 September, 2024

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ফল-২০২৪ সেশনের একাদশ ব্যাচের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী। প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, যখন থেকে মানবসমাজ যূথবদ্ধভাবে, সামাজিকভাবে বাস করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই মানুষ সমাজ নিয়ে ভেবেছে। এই ভাবনাকেই আমরা বলতে পারি লোকজ্ঞান। সমাজকে বিশ্লেষণ করে যখন সমাজকে মানুষের জন্য ভালোভাবে বাসযোগ্য করার কথা ভাবা হয়েছে যুক্তিকে অবলম্বন করে, তখন থেকেই সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ শুরু হয়েছে। মেসোপটেমিয়া, মিশর, চীন, এই উপমহাদেশ এবং অনেক দেশে বিভিন্ন ধরনের রেখে যাওয়া বাণীর মধ্যে সমাজভাবনার সঙ্গে আমরা পরিচিত হই, যেমন, কোড অব হাম্মুরবি। আমরা খুব সুলিখিতভাবে সমাজ নিয়ে ভাবনার যুক্তি ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাজজীবনকে উন্নীত করার এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তিজীবনকে উন্নীত করার প্রয়াস দেখতে পাই গ্রীক দার্শনিক প্লেটো, এরিস্টটল ইত্যাদি সমাজচিন্তকদের মধ্যে। সম্পদ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে জীবনকে অর্থপূর্ণ করার যে-প্রচেষ্টা, সেখানে মধ্যযুগের সমাজদার্শনিক ইবনে খলদুনের অবদানের কথাও স্বীকার করতে হয়। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকে যখন মার্কেন্টালিস্টরা ভেবেছিলেন, একটি দেশের যত বেশি সোনা বা রূপো আছে, সে দেশই তত সম্পদশালী, তারও অনেক আগে চতুর্দশ শতকে খলদুন বলেছিলেন সম্পদ সৃষ্টি হয় কমোডিটি (প্রয়োজনীয় সামগ্রী) সৃষ্টির মাধ্যমে। তাঁর এই বক্তব্যই আজ সমাজবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত।
ড. সেন বলেন, সমাজবিজ্ঞান একটি বিশাল বিষয়, যেখানে সংমিশ্রণ ঘটেছে অর্থনীতি, পৌরবিজ্ঞান, দর্শন, নৃ-বিজ্ঞান, ইতিহাস, নীতিশাস্ত্র ইত্যাদির। যেহেতু মানুষ সমাজে বাস করে, সেহেতু আজ প্রায় বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে, যারা বিজ্ঞান, ব্যবসা-বিষয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় পড়ে তাদের জন্য সমাজবিজ্ঞান একটি অবশ্য-পাঠ্য বিষয়। কারণ প্রকৌশল বা চিকিৎসা বিজ্ঞান বা অন্যান্য পাঠযোগ্য বিষয় সবই তো সমাজের জন্য, সমাজের মানুষের প্রয়োজনে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাদশ ব্যাচের এডভাইজার প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস। স্বাগত বক্তব্যে কোর্স কারিকুলাম বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ তাঁর বক্তব্যে সমাজতত্ত্ব পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। প্রক্টর আহম্মেদ রাজীব চৌধুরী ইউনিভার্সিটির কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলার দিক-নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক অর্পা পালের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী সমাজতাত্ত্বিকদের বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সমাজতত্ত্ব কীভাবে মানবিক চিন্তাধারার ক্রমবিকাশে শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

Quick Links and Contacts


Designed and Developed By Premier University Software Section (IT)
Copyright © 2024 Premier University IT. All rights reserved.