puc_logo

Premier University
Center Of Excellence For Quality Learning

puc_logo

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ করোনা টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়েছে বিগত ২৪ অক্টোবর ২০২১। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোভিড-১৯-এর বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২২ নভেম্বর ২০২১, সোমবার, সকাল ১০টায়। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটাই প্রথম টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির যেসব শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেনি বা করতে পারেনি, তারা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রদর্শন করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছে। এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ,  রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ইপিআই টেকনিশিয়ান জনাব মৃণাল দাশ ও স্বাস্থ্যসহকারীবৃন্দ ।
উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদানকালে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে প্রাচীনকাল থেকে বহু মহামারী এসেছে। আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে স্পেনিশ ফ্লুর আবির্ভাব ঘটেছিল। এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয় পৃথিবীর ৫০ কোটি মানুষ এবং মারা গিয়েছিল কয়েক কোটি। করোনাও এরকম একটি ভয়ংকর মহামারী। ২০১৯ সালের শেষদিকে করোনা মহামারী চীনের উহান প্রদেশে দেখা দেওয়ার পর দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। তারপর থেকে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনার টিকা আবিষ্কার ও টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী করোনা বিশেষজ্ঞদের কথা তুলে ধরে বলেন, করোনা বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ৭০ শতাংশ জনগণ  করোনার টিকা গ্রহণ করলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব হবে। তখন প্রকৃতির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ধ্বংস না হলেও তার দ্বারা তীব্র রোগ বৃদ্ধি ও মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। টিকাদান কর্মসূচির উদ্দেশ্য মূলত এটাই।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী উল্লেখ করেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের বড়ো সফলতা এটাই যে, এই সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি এখানেই যে, এই মহামারির মধ্যেও তিনি অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসোপানে তোলার জন্য যে বিরাট উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছিল, সেগুলোকে কেবলমাত্র চলমানই রাখেনি, যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিশাল পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৪.২৫ শতাংশ, পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ ও বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৩ শতাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৭.২৯ শতাংশ, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮.৫৩ শতাংশ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮.৮৫ শতাংশ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম ডুয়েলগেজ ট্র্যাক প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ শতাংশ।

Related Events

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ‘ইনডোর গেইমস এন্ড স্টুডেন্ট ক্লাব এক্টিভিটিস জোন’ উদ্বোধনে সিটি মেয়র

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার টিকার ২য় ডোজ প্রদান কর্মসূচি সম্পন্ন

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ইন্ট্রা ডিপার্টমেন্ট ফুটবল টুর্নামেন্ট (সিজন-১) অনুষ্ঠিত হয়েছে

Read More

LIT Fest 2025 Held at Premier University

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে হিম উৎসব ও কাওয়ালী সন্ধ্যা

Read More

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ করোনা টিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

Monday, 22 November, 2021

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়েছে বিগত ২৪ অক্টোবর ২০২১। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কোভিড-১৯-এর বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২২ নভেম্বর ২০২১, সোমবার, সকাল ১০টায়। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটাই প্রথম টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির যেসব শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেনি বা করতে পারেনি, তারা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রদর্শন করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণ করেছে। এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন পাবলিক হেলথ বিভাগের অ্যাডভাইজার ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ,  রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ইপিআই টেকনিশিয়ান জনাব মৃণাল দাশ ও স্বাস্থ্যসহকারীবৃন্দ ।
উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদানকালে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে প্রাচীনকাল থেকে বহু মহামারী এসেছে। আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে স্পেনিশ ফ্লুর আবির্ভাব ঘটেছিল। এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয় পৃথিবীর ৫০ কোটি মানুষ এবং মারা গিয়েছিল কয়েক কোটি। করোনাও এরকম একটি ভয়ংকর মহামারী। ২০১৯ সালের শেষদিকে করোনা মহামারী চীনের উহান প্রদেশে দেখা দেওয়ার পর দ্রুত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। তারপর থেকে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনার টিকা আবিষ্কার ও টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে তাঁর যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতেও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী করোনা বিশেষজ্ঞদের কথা তুলে ধরে বলেন, করোনা বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ৭০ শতাংশ জনগণ  করোনার টিকা গ্রহণ করলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব হবে। তখন প্রকৃতির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ধ্বংস না হলেও তার দ্বারা তীব্র রোগ বৃদ্ধি ও মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। টিকাদান কর্মসূচির উদ্দেশ্য মূলত এটাই।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী উল্লেখ করেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকারের বড়ো সফলতা এটাই যে, এই সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
রেজিস্ট্রার জনাব খুরশিদুর রহমান বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি এখানেই যে, এই মহামারির মধ্যেও তিনি অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসোপানে তোলার জন্য যে বিরাট উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছিল, সেগুলোকে কেবলমাত্র চলমানই রাখেনি, যথেষ্ট এগিয়ে নিয়ে গেছে। বিশাল পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়েছে ৯৪.২৫ শতাংশ, পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ ও বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৪৩ শতাংশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৭.২৯ শতাংশ, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮.৫৩ শতাংশ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি হয়েছে ৬৮.৮৫ শতাংশ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম ডুয়েলগেজ ট্র্যাক প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ শতাংশ।

Latest Events

Designed and Developed By Premier University Software Section (IT)
Copyright © 2024 Premier University IT. All rights reserved.