
চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী’ অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.অনুপম সেন। বুধবার (১৬ মে) নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনু্ষ্ঠানে ড.অনুপম সেন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এমন এক সময়ে যখন বাংলা কবিতার বন্ধন-মুক্তির সময়। আগে পয়ার ও ত্রিপদি ছন্দে অন্ত্যমিল রক্ষা করে কাব্য রচিত হতো। মাইকেলের পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে আবির্ভূত হয়ে তার অসাধারণ রচনার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেন। তার রচিত গোরা, শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে, চোখের বালি, নৌকাডুবি অসামান্য উপন্যাস। তার রূপক নাটক ডাকঘর, রাজা, রক্তকরবী সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। তার গান বিটোফেন সুরারোপিত গ্যাটের লেখা গানের চেয়েও অতুলনীয়। তিনি নৃত্যনাট্য ও কাব্যনাট্যও লিখেছেন। তাকে কবিগুরু বলা হলেও বস্তুত এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যেখানে তিনি লিখেননি। তিনি রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের প্রশংসা করে বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলার মানুষের চিত্রকে আসাধারণভাবে ছোট গল্পে উপস্থাপন করেছেন। কবি নজরুল সম্পর্কে অনুপম সেন বলেন, রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন ষাটের কাছাকাছি, তখন সাহিত্যে নজরুলের আবির্ভাব। তখন প্রথম মহাযুদ্ধ শেষ। নজরুল সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েই অসামান্য গান, কবিতা লিখলেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি সাহিত্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার বাণী প্রচার করেন। পৃথিবীতে তার মতো করে স্বাধীনতার কথা সাহিত্যে কেউ বলতে পারেননি। তার রচিত স্বাধীনতার চেতনাসমৃদ্ধ ‘বিদ্রোহী’কবিতার সমকক্ষ কবিতা আর নেই। ব্রিটিশ ভারতে যথাযথ সময়ে যথাযথভাবে স্বাধীনতার বাণী সাহিত্যে উচ্চারণ করায় রবীন্দ্রনাথ অভিভূত হন। তিনি ‘বসন্ত’ নাটক নজরুলকে উৎসর্গ করেন। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহিম।